চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি মো. শহীদুল হকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে চবি সাংবাদিক সমিতির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ। এসময় তিনি নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন ও বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক পরামর্শ দেন।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতির অফিস কক্ষে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। পরে তিনি চবি সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন।
নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে চবি সাংবাদিক সমিতির উপদেষ্টা এবং যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি শহীদুল হক বলেন, বর্তমানে সাংবাদিকতা ধরণ পরিবর্তন হয়েছে সেই সাথে সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতাতেও পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু অনলাইন সাংবাদিকতায় কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছে। সেখানে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে সংবাদ প্রচার হচ্ছে। যার কারণে ভালো-মন্দ যাচাই-বাছাই করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। চবি সাংবাদিক সমিতি অতীতের মত সুনামের সাথে কাজ করে যাবে এ প্রত্যাশা রইলো।
তিনি আরও বলেন, সংবাদ সংগ্রহের সময় সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতার দিকে অবশ্যই দৃষ্টি রাখতে হবে। বিশেষ করে নেতিবাচক সংবাদগুলো করার সময় অধিক যাচাই-বাছাই করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো প্রয়োজনে সাংবাদিকরা বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আশা করি, ভবিষ্যতেও তোমরা তোমাদের জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে অগ্রগতি ভূমিকা পালন করবে।
কনস্ট্রাকটিভ জার্নালিজমের প্রতি গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে কনস্ট্রাকটিভ জার্নালিজমের বিকল্প নাই। ভালো সাংবাদিক হওয়ার জন্য পড়ালেখার বিকল্প নাই
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর মো. শহীদুল্লাহ, সহযোগী অধ্যাপক ও চবিসাসের সাবেক সভাপতি শাহাব উদ্দীন নিপু, সহকারী অধ্যাপক মাধব চন্দ্র দাস, চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হোসাইন, সহ-সভাপতি নাজমুস সায়াদাত, সাধারণ সম্পাদক মুনাওয়ার রিয়াজ মুন্না, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম তুহিন, অর্থ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, প্রচার প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক রায়হান উদ্দিন এবং কার্যনির্বাহী সদস্য ইমাম ইমুসহ সমিতির সাধারণ সদস্যরা।
এর আগে নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক সমিতি, অফিসার সমিতি, হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, হাটহাজারী সার্কেলের এএসপির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
চবিসাস